রবিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২০
১৯৫৯ সালে পাতা ”অপুর সংসার ‘বেলাশেষে’ পরিণতি পেল ১৫ই নভেম্বর, ২০২০। ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র ‘অভিযান’, বহু ‘অশণি সংকেত’কে উপেক্ষা করেই ‘গণশত্রু’দের বিরুদ্ধে ‘ঘরে বাইরে’ আজীবন লড়াই চালিয়েছেন আপনি। সাহিত্য সংস্কৃতির সব ‘শাখা প্রশাখা’য় অবাধ বিচরণ ছিল আপনার। ‘ঝিন্দের বন্দী’দের মুক্ত করার ‘অতল আহ্বান’-এ সাড়া দিয়েছেন প্রতি মুহুর্তে ‘আতঙ্ক’ জয় করেই। ‘গণদেবতা’ই ছিল আপনার প্রাণের দেবতা। আপনার মগজাস্ত্রের ধার সময়ের স্রোতে হয়েছে আরও ধারলো। নাট্যমঞ্চে ‘হোমা পাখী’র মতই ছিল আপনার ক্ষিপ্র অবাধ বিচরণ। ‘রাজা লিয়র’-এর মত ট্র্যাজিক হিরো নয়, মানুষের হৃদয়ের রাজা ছিলেন। ”সাত পাঁকে বাঁধা পড়লেও ‘সংসার সীমান্তে’ নিজেকে আবদ্ধ না রেখে ‘তিন ভুবনের পারে’ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন নিজেকে, স্বভাবজাত দক্ষতায়। ক্ষিতদা আপনি বলেছিলেন – ফাইট কোনি ফাইট। আপনিও লড়াই কাকে বলে জীবনের শেষবেলায় দেখিয়ে দিলেন।
চরিত্রায়নের অসীম দক্ষতা ডানা মেলেছে অপু থেকে ফেলুদা। আপনি প্রকৃত মাষ্টারমশাই। উদয়ন পন্ডিত বদলের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে দেয়নি, কিন্তু তাঁকে বাদ দিয়ে ‘অতল জলের গহীন’-এও কোনো কাজ বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ করে দেখাবার সাহস পায়নি।
আপন বিশ্বাসকে জীবনের শেষ লেখাতেও ব্যক্ত করেছেন দ্বিধাহীন চিত্তে – আমি বামপন্থী।
সেলাম।
আপনাকে হারাইনি, ‘জন অরণ্য’-এর নায়ক আপনি।