Site icon CPI(M)

নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন পার্টি নেতা

গত ৪ জুলাই গভীর রাতে বারাতলা অঞ্চলের বারাতলা গ্রামের সিপিআই( এম)’র শাখা সদস্য কমরেড দেব কুমার ভূঁইয়াকে তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা বাড়ি থেকে তুলে এনে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করে বামুনচক রাস্তার কাছে ফেলে যায়। দেবুর সারা শরীরে অত্যাচারের দাগ। বাম পা ভাঙা, ডান হাত ভাঙা, পেটে কালো কালো মারের দাগ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। কমরেড ভূঁইয়া এলাকার একনিষ্ঠ সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ২০০৯ সাল থেকে তৃণমূলী সন্ত্রাসে ঘর ছাড়া ছিলেন। বহু মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি আবার ঘরে ফেরেন। আবার ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের পরে তাকে এলাকার তৃণমূলীরা মারধোর করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়। গতকাল কাঁথি থেকে সেই মামলায় হাজিরা দিয়ে রাত্রে বাড়ি ফিরে ছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা পিছু নিয়ে তাঁর বাডি পর্যন্ত যায়। বাড়ি থেকে তুলে এনে ফাঁকা মাঠে ইটভাটায় ফেলে মেরে কাছেই বামুন চকে ফেলে দেয়। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এক মেয়েকে নিয়ে সারারাত আতঙ্কে পড়ে থাকে। আরেক মেয়ের বিয়ে হয়েছে পাঁউশিতে। সকালে জানাজানির পর এলাকার পার্টি নেতৃত্ব পুলিশে খবর দেন। খেজুরি থানায় পার্টি নেতা পরিতোষ পট্টনায়েক, শেখ জাহারাজ আলি, রত্নেশ্বর দোলইরা গিয়ে প্রকৃত খুনিদের ধরে তারা যথাযোগ্য শাস্তি পায় দাবি জানান।

কাঁথি হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে আড়াল করে রেখেছে তৃণমূলীরা। তাই তাঁর দেহ আজকে পাওয়া যায়নি। যেহেতু বাড়ির লোক ছাড়া কাউকে দেহ দেওয়ার নিয়ম নেই। কাঁথি হাসপাতালে সিপিআই(এম)র বহু কর্মী সহ হিমাংশু দাস উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদে খেজুরি,হেঁড়িয়াতে সিপিআই(এম)’র বিক্ষোভ মিছিল হয়।এবং পথ অবরোধ হয়। পুলিশ চাপে পড়ে তদন্ত শুরু করেছে। তৃণমূলীরা তাঁর স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছে। পুলিশ ঐ এলাকার তিমির মণ্ডল নামে এক টোটো চালককে আটক করেছে। ঐ দিন গভীর রাত্রে ঐ টোটোতে দেবকুমারের দেহ বয়ে নিয়ে বামুন চকে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গেছে। সিপিআই(এম) নেতা হিমাংশু দাস দাবি করেছেন ঐ টোটো চালককে জেরা করলে এই খুনের বড় বড় মাথা ধরা পড়বে। খেজুরির পুলিশ যেন শাসক দলের হয়ে কাজ না করে। হেঁড়িয়াতে বিশাল মিছিল এলাকা পরিক্রমা করে এদিন। দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়। নেতৃত্ব দেন রাজ্য কমিটির সদস্য হিমাংশু দাস,পরিতোষ পট্টনায়ক, যাদবেন্দ্র সাহু, গোকুল ঘোড়াই, অশনি পাত্র, রত্নেশ্বর দোলই, অতুল্য উকিল, প্রমুখ নেতৃত্ব।

Spread the word