Lenin - Shantanu Dey

Lenin, John Reed And Pandemic: A Retrospective

লেনিন, জন রীড ও মহামারি

১৯১৫, জারের রাশিয়া।

মহামারিতে আক্রান্ত ৮ লক্ষ মানুষ। সে সময় গড় আয়ু মাত্র ৪০ বছর। প্রতিবছর যে ৬০ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়, তার ২০ লক্ষই মারা যায় রোগভোগে আর অপুষ্টিতে।

১৯১৭, অক্টোবর বিপ্লব।

বিপ্লবের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয় বিশ্ব মহামারি। স্প্যানিশ ফ্লু। যদিও তা স্পেনে শুরু হয়নি। বিপ্লবের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রতি সপ্তাহে গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৫০ জন। অবশ্য, টাইফাসের তুলনায় অনেক কম। সংক্রামক রোগ টাইফাসে তখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন সপ্তাহে প্রায় এক হাজার জন। আর এই টাইফাসের কারণ ছিল উকুন।

উকুনবাহিত টাইফাসের মহামারি ঠেকাতে লেনিন সেদিন সোভিয়েতবাসীকে বলেছিলেন, ‘যদি উকুন মারতে না পারো, তবে উকুন বিপ্লবকে মেরে ফেলবে। হয় সমাজতন্ত্র উকুনকে পরাস্ত করবে, নতুবা উকুন পরাস্ত করবে সমাজতন্ত্রকে।’

যদিও কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। বছরচারেক আগেও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশ ছিল রাশিয়া। তরুণ সোভিয়েতে তখনো জারের ভেঙে পড়া চিকিৎসাব্যবস্থা। জনগণ চরম দারিদ্র্যে। অসুস্থ রুগণ শরীর। গৃহযুদ্ধে জেরবার। দুর্ভিক্ষের হুমকি।

লেনিন ছিলেন কাউন্সিল অব কমিশারসের চেয়ারম্যান, বিপ্লবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী পদের তুলনীয়। প্রথমেই তিনি অন্যতম জরুরি পদক্ষেপ নেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ে।

২১ জুলাই, ১৯১৮। ডিক্রি জারি করে পিপলস হেলথকেয়ার কমিশারিয়াত গঠন। সব স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কেন্দ্রীভূত করার উদ্যোগ। সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ছিল তার অন্যতম অগ্রাধিকার।

লাল ফৌজের দুর্গে হোয়াইট আর্মির থেকে দৈত্যাকার উকুনের হুমকি

দেশের সব মানুষের জন্য এই বিশ্বের প্রথম পাবলিক হেলথ গভর্নিং বডি। নিকোলাই আলেকজান্দ্রোভিচ সেমাশকো তাঁর প্রথম প্রধান। যেখানে ১৯৫৩ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তৈরি করে উঠতে পারেনি কোনও স্বাস্থ্য দপ্তর।

সোভিয়েত রাশিয়াতেই প্রথম সবার জন্য গড়ে তোলে জনস্বাস্থ্য পরিষেবা। স্বাস্থ্য পরিষেবা কোনও অনুগ্রহ নয়। অধিকার। সবার জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা। বিনা মূল্যে সার্জারি। বিনা মূল্যে ওষুধ। কমিশারিয়াতের দায়িত্ব স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার যাতে সুনিশ্চিত করা হয়।

স্প্যানিশ ফ্লু নিয়ে ব্রিটিশ সাংবাদিক লরা স্পিনি সম্প্রতি লিখেছেন আকর্ষণীয় বই ‘পেল রাইডার: দ্য ফ্লু দ্যাট ট্রান্সফর্মড দ্য টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি’। ২০১৭-তে পেঙ্গুইন প্রকাশিত এই বইটিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোড়ার দিকে নীতির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। লিখেছেন: ‘১৯২০ সালে রাশিয়া ছিল কেন্দ্রীয়ভাবে পূর্ণ সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে প্রথম দেশ। সর্বজনীন ছিল না, কেননা গ্রামীণ জনসাধারণ এর আওতায় পড়তেন না… কিন্তু এতৎসত্ত্বেও তা ছিল বিপুল সাফল্য এবং তার পেছনে চালিকা শক্তি ছিলেন ভ্লাদিমির লেনিন।’

‘ভবিষ্যতের চিকিৎসক কেমন হবেন, তার সরকারি দৃষ্টিভঙ্গি ১৯২৪-এ বলা হয়, যখন সরকার মেডিকেল স্কুলগুলোকে বলে এমন ডাক্তার তৈরি করতে হবে, যাদের অসুস্থতার পেশাগত ও সামাজিক কারণ অনুসন্ধান করার দক্ষতা রয়েছে। কেবল অসুস্থতার নিরাময় নয়, তা যাতে আর না হয় তার উপায় ভাববার সামর্থ্য রয়েছে।’

‘লেনিন বুঝেছিলেন মেডিসিন কেবল জীববৈজ্ঞানিক এবং পরীক্ষামূলকই হবে না, সমাজতত্ত্বের বিষয়ও বটে। প্রায় একই সময়ে এপিডেমিওলজিকে— রোগের চরিত্র, কারণ এবং প্রভাবের জ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে পূর্ণ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। জনস্বাস্থ্যের পক্ষে তা ছিল মাইলফলক।’ লিখেছেন লরা।

দ্রুততার সঙ্গে তৈরি হয় হাসপাতাল, পলিক্লিনিক। সঙ্গে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী। সম্প্রসারিত করা হয় মেডিকেল স্কুল, ব্যাকটেরিওলজিক্যাল ইনস্টিটিউট।

সাংবাদিক জ্যাকব ফ্রিসকে পেত্রোগ্রাদ কমিউনের জনস্বাস্থ্য কমিশারিয়াত ডা: ই পি পেরভুকিন ১৯২০-তে বলেন, ‘ড্রাগ স্টোরগুলির জাতীয়করণের ফলে আমাদের মজুত অল্প থাকলেও, তা সমানভাবে বন্টন করা সম্ভব হয়েছে। বাইরের সমস্ত সমস্যা সত্ত্বেও, গতবছর আমাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা ছিল ভালো।’

জনস্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারে বলশেভিক প্রদর্শনী ট্রেন, যা চষে বেড়িয়েছিল গোটা রাশিয়াতে

‘ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর জন্য তৈরি হয়েছে নতুন কারখানা। ওষুধের কালোবাজারিদের হাত থেকে বিপুল পরিমাণে ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় কোনও পুঁজিবাদী সরকারের পক্ষে যা অসম্ভব।

পশ্চিম বিশ্বের তুলনায় অনেক ভালোভাবে আমরা স্প্যানিশ ফ্লু মোকাবিলা করতে পেরেছি। মহামারি মোকাবিলায় অতীতের দিনগুলির তুলনায় আমরা আছি অনেক ভালো অবস্থানে।’

ফ্রিস ছিলেন নরওয়ের লেবার পার্টির সদস্য, ১৯১৭’র পর যারা যোগ দিয়েছিল কমিন্টার্নে। তিনি ও তাঁর বলশেভিকের সাক্ষাৎকারে অতিশয়োক্তি থাকতে পারে বলে কেউ দাবি করতেই পারেন, কিন্তু ফ্রিসের এই বক্তব্যের জেরালো সমর্থন মেলে মার্কিন অধ্যাপক ডেভিড প্যাটারসনের নিবন্ধে।

১৯৯৩-তে লেখা নিবন্ধে প্যাটারসন লিখছেন, সেসময় ‘জনগণকে শিক্ষিত সচেতন করতে নেওয়া হয়েছিল ব্যাপক পদক্ষেপ। সোভিয়েতের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ছুটে বেড়িয়েছিল বিশেষ প্রদর্শনী ট্রেন। ১৯১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যে ডিসইনফেকশন টিম মস্কো স্টেশনে প্রতিদিন গড়ে ৪৯-৫০,০০০ যাত্রীর চিকিৎসা করছিল। টাইফাস রোগীদের জন্য সরকার অতিরিক্ত ২,৫০,০০০ শয্যার ব্যবস্থা করেছিল।’

স্বাস্থ্য মানে আর মুনাফা নয়। আবার স্বাস্থ্য মানে কেবল ডাক্তার, নার্সদের একার ব্যাপার নয়। দরকার শ্রমিক-কৃষকের অংশগ্রহণ। মহামারি ঠেকাতে ১৯১৮-তে গ্রাম-শহরে তৈরি হয় ওয়ার্কার্স কমিটি। তাদের কাজ ছিল গ্রাম-শহরের মহল্লা ঘুরে দেখা। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে মানুষকে সজাগ করা। সাবান সরবরাহ করা। পার্টির ট্রেড ইউনিয়ন, মহিলা ও যুব সংগঠন— সবাই যোগ দিয়েছিল এই প্রতিরোধ সংগ্রামে।

অক্টোবর বিপ্লবের মাসেই শ্রমিক ও কৃষকদের সরকারের তরফে লেনিন শান্তির ডিক্রি জারি করেন। যেখানে প্রধান শক্তিগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। একদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে জার্মানি ও তার মিত্ররা লেনিনের আহ্বান উপেক্ষা করে। ব্রিটেন ও তার মিত্ররা মনে করে তারা যুদ্ধে জিততে চলেছে। সে কারণে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। যদি শান্তি চুক্তি হতো, তাহলে মারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে আরও ভালো করে লড়াই করা যেত। যখন ১৯১৮-র অক্টোবরে ফ্লু’র দ্বিতীয় এবং আরও মারাত্মক চেহারার ঢেউ আসে, তখন লাখ লাখ সেনার মৃত্যু হয়।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসে এই অন্ধকার অধ্যায় সাম্রাজ্যবাদের অমানবিক চরিত্রকে বেআব্রু করে দেয়। আধিপত্যের জন্য অভিযানে অসুস্থ ও মুমূর্ষুকে যত্নের মানবিক বিবেচনাকে অস্বীকার করা হয়। রাশিয়া এই সময়ে গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। বিপ্লব ও শ্রমিক রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য প্রতিবিপ্লবী শক্তি বর্বর যুদ্ধ শুরু করে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারিতে ঠিক কত মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, তা জানা নেই। আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিল তরুণ সাধারণতন্ত্রের তরুণ রাষ্ট্রপতি বলশেভিক নেতা ইয়াকভ ভেরদলভ। তখন তাঁর বয়স ৩৪। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতেই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো রাশিয়াকে আক্রমণ করে বিপ্লবকে শ্বাসরুদ্ধ করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রতিবিপ্লবী শক্তিকে সাহায্য করতে ১১টি দেশ সেনা পাঠায়। মহামারি নয়, বিপ্লবের দমনই ছিল তাদের চিন্তার বিষয়।

মার্চ, ১৯১৯। রাশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টি (বলশেভিক) সপ্তম কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য ঘোষণা: সোভিয়েত স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কর্মসূচি রূপায়ণ।

টাইফাসের মোকাবিলায় মানুষ নিজেরাই পরিষ্কার করছেন তাঁদের স্নানঘর, সাফাই মেশিনে সফসুতর করছেন নিজেদের পোশাক

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ। ১ মার্চ, ১৯২০। মেডিকেল ওয়ার্কারদের দ্বিতীয় নিখিল রুশ কংগ্রেসে লেনিন বলেন, ‘এই কংগ্রেসের উদ্দেশ্য ও যে কাজ আপনারা করেছেন, তা নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্যের কোনও প্রয়োজন নেই। প্রত্যাশার সঙ্গে তাল মিলিয়েই রণাঙ্গনে সম্ভবত এমন কোনও ক্ষেত্র ছিল না, যাতে আপনারা আত্মত্যাগ করেননি।’

‘চার বছরের সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ মানবজাতিকে দিয়েছে লাখ লাখ পঙ্গু মানুষ আর মহামারি।’

‘আমাদের সেনাদের ওপর চেপেছে ভয়ংকর, কঠিন ও দায়িত্বপূর্ণ কর্তব্য। রণাঙ্গনের সংগ্রাম দেখিয়েছে, সাম্রাজ্যবাদীদের চেষ্টায় কোনও ফল হয়নি। আমাদের পেছনে রয়েছে রণাঙ্গনের ভয়াবহ সমস্যা। তবে এখন আমাদের ঠিক করা উচিত শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের কাজের ভার। রক্তাক্ত ফ্রন্টে যে অভিজ্ঞতা আমরা অর্জন করেছি, আমাদের একে প্রয়োগ করতে হবে আরও রক্তাক্ত ফ্রন্টে, যেখানে আমাদের অনেক বেশি করে দেখাতে হবে সহানুভূতি।’

‘মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের প্রয়োগ করতে হবে সব প্রত্যয় এবং গৃহযুদ্ধের সব রকম অভিজ্ঞতা।
বিজ্ঞানী ও শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগিতাই দারিদ্র্য, রোগব্যাধি এবং তুচ্ছ বিষয়ের অবসান ঘটাতে পারে। কোনও অন্ধকারের শক্তিই ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না বিজ্ঞানী, সর্বহারা এবং প্রযুক্তিবিদের মধ্যে মৈত্রীকে।’

মার্চ, ১৯২৩। বার্লিনে ওয়ার্কার্স ইন্টারন্যাশনাল রাশিয়ান রিলিফের সম্মেলনে নিকোলাই সেমাশকোর ঘোষণা: ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য কমিশারিয়াতের কাজের বোঝা বিপুল এবং রয়েছে প্রচুর দায়িত্ব। কিন্তু এসব কিছুর পরেও, আমরা মহামারি মোকাবিলায় সফল।’

এবছর, বিপ্লবী সাংবাদিক জন রীডের মৃত্যু শতবর্ষ।

উকুন মানে মৃত্যু, ১৯১৯ সালের পোস্টার

১৯২০, টাইফাসে মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে রীড এক নিবন্ধে সবিস্তারে তুলে ধরেছিলেন এই পরিস্থিতির কথা। লিবেরেটর পত্রিকায় প্রকাশিত ওই নিবন্ধে তিনি বলেন, শ্রমিকের হাতে ক্ষমতা ‘মানে সোভিয়েত রাশিয়াতে সবকিছু ভালো চলছে, এমন নয়। মানুষের ক্ষুধা নেই, দুর্দশা নেই, রোগভোগ নেই, বেপরোয়া নিরন্তর সংগ্রাম নেই, এমন নয়। এই শীত ছিল ভাবনার বাইরে ভয়াবহ। টাইফাস, থেকে থেকে বিষম জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা শ্রমিকদের মধ্যে লেগেই ছিল।’

‘তারপরেও জনস্বাস্থ্যের কমিশারিয়াত তৈরি করেছিল বিশাল নিকাশি পরিষেবা, স্থানীয় সোভিয়েতের নিয়ন্ত্রণে গোটা রাশিয়াতে মেডিকেল শাখার নেটওয়ার্ক, এমন সব জায়গায় যেখানে অতীতে কখনও ডাক্তার ছিল না।’

‘প্রতিটি মফস্বল শহরের গর্ব ছিল অন্তত একটি নতুন হাসপাতাল, অধিকাংশ জায়গায় দু’টি অথবা তিনটি। হাজার হাজার উজ্জ্বল রঙের পোস্টার লাগানো হয়েছিল সর্বত্র, ওই পোস্টারে ছবিতে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছিল কীভাবে রোগ এড়ানো সম্ভব, আহ্বান জানানো হয়েছিল, নিজেদের বাড়ি এবং নিজেদেরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।’

‘প্রতিটি ছোট-বড় শহরে শ্রমজীবী মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে প্রসূতি হাসপাতাল।’

যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মাঝে ধনী পুঁজিবাদী দেশগুলির এক শতাব্দীর পর মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সদ্যোজাত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বলশেভিকরা নিয়েছিল অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক, কার্যকরী একটি গণতান্ত্রিক নীতি।
যে কারণে, দারিদ্র ও মহামারির পুঁজিবাদী সমাজের পরিবর্তে আমরা আজও লড়ছি সমাজতন্ত্রের জন্য।

জন রীড
Spread the word

Leave a Reply