কনভেনশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মার্কসবাদ-লেনিনবাদের ভিত্তিতে একটি বিপ্লবী পার্টি গড়ে তোলার লক্ষ্যে আহুত হয় সপ্তম কংগ্রেস। সরকারের গণতন্ত্রবিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াই সংগঠিত করার মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। সংশোধনবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ একদশকের বেশি সময়কাল ধরে চলতে থাকা মতাদর্শত সংগ্রামের পরিণতিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম পার্টি কংগ্রেস নতুন পার্টি কর্মসূচী ও আশু কর্তব্য সম্পর্কে প্রস্তাব গ্রহণ করে। পলিটব্যুরোয় নির্বাচিত নয়জন সদস্য পরবর্তীকালে ভারতের কমিউনিস্ট আন্দোলনে ‘নবরত্ন' হিসাবে পরিচিত হয়।
Campaigns & Struggle
The Journey Towards The 23rd Party Congress (Part I)
১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের ৩ বছরের মাথায় বর্তমান উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ১৯২০ সালের ১৭ অক্টোবর তৈরি হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত বহু ভারতীয় সেইসময়ে প্রবাসে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিটিশদের অত্যাচার এড়াতে। এদেরই একটা অংশ মুখ্যত এম এন রায়ের উদ্যোগে লেনিন তথা বলশেভিক পার্টির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। তৃতীয় আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসের (১৯২০) অব্যবহিত পরেই এই ভারতীয়দের বিপ্লবীদের নিয়ে গঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি। ভারতে কাজ করার জন্য সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।এই সাতজন ছিলেন এম.এন. রায়, এভলিন রায়-ট্রেন্ট, অবনী মুখার্জি, রোজা ফিটিংগভ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ শফিক এবং আচার্য। শফিক দলের সম্পাদক নির্বাচিত হন।
Threat To Democracy: Md Salim
গত দশ বছর ধরে এটাই এরাজ্যের চিত্র। বামপন্থীদের উপর লাগাতার আক্রমণ হয়েছে। এখন শুধু বামপন্থীদের উপরই নয়, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যক্তিও আক্রান্ত হচ্ছেন। আজ নির্বাচনী মিছিলে পুলিশি হামলা হয়েছে, ১১জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
We Must Fight: Strike Hard!
আমাদের দেশের কৃষকরা পথ দেখিয়েছেন কিভাবে দাবি আদায় করে নিতে হয়। একটার পর একটা ঘটনায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন, আসছেন। সেই সংগ্রামের পথেই আমরা, প্রকল্প কর্মীরাও আছি।
“দ্রিম দ্রিম বাজে রণতূর্য ” – কনীনিকা ঘোষ…
২৪ মার্চ ২০২২, বৃহস্পতিবার সুনয়না ঘুম থেকে উঠে খবরের কাগজটা হাতে নিয়েছিল, হঠাৎ মনে পড়ে গেল আজ অফিস তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে
Why Labours from Unorganized Sector should participate in the General Strike
দ্য আনঅর্গানাইজড ওয়ার্কার্স সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০০৮ ধারা 2(L) অনুযায়ী 'অসংগঠিত ক্ষেত্র' বলতে বোঝাবে একটি সংস্থা যা কোন ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ বা স্বনিযুক্ত শ্রমিক/শ্রমিকরা তার মালিক এবং এই সংস্থাটির কোন দ্রব্য উৎপাদন বা কোন সামগ্রী বিক্রি বা যেকোনো ধরনের পরিষেবা প্রদান করে এবং এই কাজের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করে কিন্তু তার সংখ্যা ১০ জনের কম।
General Strike: Peoples’ Struggle(Part II)
আগামী ২৮-২৯ মার্চ ২০২২ এর এই সাধারণ ধর্মঘটকে গুণগতভাবে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে এই স্বৈরাচারী ও ধ্বংসাত্মক সরকার কে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য, দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে আরো উন্নত চেতনার দিকে যার মাধ্যমে এই নয়া উদারবাদের রাজনীতিকেই সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে পরাজিত করা সম্ভব হয় দেশ এবং দেশের মানুষকে বাঁচানোর স্বার্থে।
General Strike: Peoples’ Struggle(Part I)
এই সাধারণ ধর্মঘট ১৯৯১ সালে নয়া উদারনীতি পর্বের আরম্ভের পরে একবিংশতিতম ধর্মঘট হতে চলেছে। এই তিন দশকের লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, প্রতিটি সাধারণ ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে এবং তার মধ্যে শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে সংগঠিত ও অসংগঠিত অংশ মিলিয়ে অসংখ্য নির্দিষ্ট দাবি আদায়ের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে, ট্রেড ইউনিয়ন সমূহের সংযুক্ত মঞ্চ গড়ে উঠেছে, সম্প্রসারিত হয়েছে, এবং শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে সক্ষম হয়েছে।
CPI(M) WB 26th Conference: Day III
মেহনতি জনগণের প্রতিদিনের লড়াই-সংগ্রামে যুক্ত থেকেই রাজ্যের বুকে অন্ধকারের অবসান ঘটাতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইতে জয়ী হতে হবে, মানুষের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতিকে প্রতিহত করতে হবে। কমিউনিস্টরা কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কখনো হতাশ হন না, তারা মানুষকে সাথে নিয়েই নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থেকে শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে যান।
About 26th State Conference: Prakash Karat
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ২৬ তম সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এই রাজ্য সারা দেশে বাম আন্দোলন তথা কমিউনিস্ট পার্টি নির্মাণের কাজে অন্যতম নির্ণায়ক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। এই রাজ্যে আমাদের পার্টির নেতৃত্বে শ্রেণী এবং জনগণের লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের নির্মাতা। সংগঠনকে সময়োপযোগী করতে হবে। একথা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির আলোচনাতেও এসেছে, পার্টি কংগ্রেসের খসড়া প্রতিবেদনেও আমরা সেই নিয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব রেখেছি।