কমরেড জ্যোতি বসুর ১০৭ তম জন্মদিবসে প্রমোদ দাসগুপ্ত ভবনে রক্তদান শিবির…

প্রয়াত জননেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমরেড জ্যোতি বসু’র ১০৭ তম জন্মদিন রাজ্যজুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন সাধারণ মানুষ। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বর্ধমান, জলপাইগুড়ি সহ জেলায় জেলায় পার্টি ও বিভিন্ন গণ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত নানা আলোচনায় উঠে এল জ্যোতি বসুর সুদূর প্রসারী চিন্তাধারা ও বর্তমানের সামাজিক – রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত।একইসাথে বিভিন্ন স্থানে দিন আনা,দিন খাওয়া মানুষদের ত্রাণ বিতরণ, রক্তদান শিবির ,আলোচনা সভা ইত্যাদি।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে , লড়াই সংগ্রামের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষার প্রশ্নে জ্যোতি বসুর সাহসী ভূমিকা ও পদক্ষেপ আজ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে গণতন্ত্র রক্ষায় দাঙ্গাবাজদের কঠোর ভাবে দমন ,আরএসএস রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আগ্রাসনকে রুখে দেওয়া।অন্যদিকে সাধারণ দলমত ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া, আদিবাসী সংখ্যালঘু মানুষের কল্যাণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেওয়া- এই দুই কাজে তিনি তাঁর জীবনের অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।এই কথাগুলি নেতৃত্বে আলোচনায় উঠে আসে।

এখন মানুষকে বিভাজন করে ধর্মীয় মেরুকরণ করা হচ্ছে পুঁজিপতিদের স্বার্থে। আর জলাঞ্জলি দেওয়া হচ্ছে শ্রমিক কৃষকদের স্বার্থকে। জ্যোতি বসু আজীবন এর বিরোধীতা করে এসেছেন। তিনি আরএসএস ‘কে বর্বরের দল বলতেও পিছপা হননি আবার এ রাজ্যের তৃণমূল প্রসঙ্গে বলেছিলেন এরা খাল কেটে কুমির নিয়ে আসছে। তিনি বলেছিলেন , তৃণমূলই এরাজ্যের বিজেপি – আরএসএস কে আহ্বান করে নিয়ে আসছে। এটাই ওদের সবথেকে বড় অপরাধ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সব দিক বিচার বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে তার সেই সমস্ত কথা সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার ফসল ছিল। তিনি শুধুমাত্র একটা অঙ্গরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না, বিরোধীদের প্রধান স্তম্ভ ছিলেন। গতদেশের কাছেই বামপন্থীদের মর্যাদা বাড়িয়ে তুলেছিলেন। বুধবার ভয়াবহ এই করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমরেড জ্যোতি বসুকে স্মরণ করে সারা রাজ্য জুড়ে তার জন্মদিবস পালনের মধ্যদিয়ে নেতৃত্বের থেকে এই কথাগুলি উঠে এসেছে।
এদিন সিপিআই(এম) কলকাতা জেলা দপ্তরে ‘প্রমোদ দাসগুপ্ত মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে প্রয়াত জননেতা কমরেড জ্যোতি বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে ফুল ও মালা দেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, মালাদের পার্টির রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, শ্রদ্ধা জানান মহ.মহম্মদ সেলিম সহ নেতৃবৃন্দ। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ২০১৪ সাল টেকে এই একই দিনে রক্তদান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এবারে রক্তদান করেন জন মানুষ।

Spread the word

Leave a Reply