PB Statement

দুর্নীতির অভিযোগে আদানিদের চিহ্নিত করতে হবেঃ পলিট ব্যুরোর বিবৃতি

প্রেস বিবৃতি

২১ নভেম্বর, ২০২৪

গৌতম আদানি সহ আরও ছয়জনের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ন্যায় মন্ত্রকের (ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস) তরফে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। ঐ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে গৌতম ও তার ভাগ্নে সাগর আদানি ভারতে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহের বরাত পেতে সরকারী আধিকারিকদের সব মিলিয়ে প্রায় ২০২৯ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে একটি হিসাবও দেখানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এই শুনানি চলছে কারণ ঐ বরাতের বিষয়ে মার্কিন বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে আদানি গোষ্ঠী ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগে উল্লিখিত হয়েছে এই মামলার যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সাগর আদানির (গৌতম আদানির ভাগ্নে) কাছ থেকেই পাওয়া গেছে যাতে প্রমাণ হয় সরকারী আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে -

‘ব্যবহৃত সেইসকল নোটগুলি চিহ্নিত করা গেছে যার মাধ্যমে বোঝা যায়:

১) বিভিন্ন রাজ্য বা প্রদেশে সরকারী আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল,

২) প্রস্তাবিত ঘুষের প্রায় পুরো টাকাটাই উদ্ধার হয়েছে,

এবং

৩) ঐ ঘুষের বিনিময়ে রাজ্য সরকারগুলি আনুমানিকভাবে নির্ধারিত পরিমাণ সৌর বিদ্যুৎ আদানীদের সংস্থা থেকেই কেনার জন্য বাধ্য থাকবে।

বিদ্যুতের প্রতি মেগাওয়াট পিছু দাম, ঘুষ নেওয়া সরকারী আধিকারিকদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি কিংবা নির্দিষ্ট এলাকা, অঞ্চল বা রাজ্যের জন্য নির্ধারিত ঘুষের পরিমাণ ইত্যাদি সবই ঐ নোটের হিসাবে স্পষ্ট হয়েছে।’

এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ভারতের সরকারী অধিকারীদের ঘুষ দিতে ব্যবহৃত হয়েছে, একথা আমাদের জন্য যথেষ্ট লজ্জার যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে চলা মামলার সুবাদে এমন ঘটনা সামনে এল। এদেশে মোদী সরকারের তরফে গৌতম আদানি ও তাদের সংস্থাকে এধরনের যাবতীয় দুর্নীতি ও অপরাধের ঘটনায় সুরক্ষা যোগানো হয়েছে। হিন্ডেনবার্গের ফাঁস করা রিপোর্ট প্রকাশ করার পরেও সংশ্লিষ্ট তদন্ত ও বিচারের হাত থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেই আদানীদের রক্ষা করেছিলেন।

মোদী সরকার আর ধোঁয়াশার আড়ালে থাকতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে পেশ হওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অবিলম্বে সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন)-কে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিতে হবে। সরকারী কর্মচারীদের ঘুষের বিষয়টি কেন্দ্রীয় দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত আইনের (প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট) অন্তর্ভুক্ত, তাই সিবিআই এমন মামলা দায়ের করতে সক্ষম। নিরপেক্ষ এজেন্সি মারফত আদানি গ্রুপ অফ কোম্পানির অন্যান্য যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তরের পক্ষে

মুরলিধরন কর্তৃক প্রচারিত বিবৃতি


শেয়ার করুন

উত্তর দিন