Surja Mishra

সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির প্রেস বিবৃতি

১৫জানুয়ারি, ২০২০, কলকাতা

সিপিআই(এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক বুধবার শেষ হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিমান বসু। বৈঠকের প্রথম দিন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি উপস্থিত ছিলেন।
ইয়েচুরি রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থনৈতিক সঙ্কট, সিএএ-এনআরসি’র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনের তাৎপর্য তিনি ব্যাখ্যা করেন।
রাজ্য কমিটির সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র লং মার্চ, সাধারণ ধর্মঘট, রাজ্যে সিএএ-এনআরসি বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে পর্যালোচনা পেশ করেন।
রাজ্য কমিটির সদস্যরা আলোচনার সময়ে জানিয়েছেন, সাধারণ ধর্মঘট সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বৃহত্তম চেহারা নিয়েছে। প্রায় প্রত্যেক জেলায় জনজীবন স্তব্ধ ছিল। শিল্পক্ষেত্র, পরিবহন ছাড়াও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। গ্রামীণ জনগণের সাড়া মিলেছে, বাজার বন্ধ ছিল। ছাত্র ধর্মঘটও সর্বাত্মক চেহারা নিয়েছে।
এনআরসি-সিএএ-এনপিআর’র বিরুদ্ধে রাজ্যব্যাপী মিছিল, বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে। বামফ্রন্ট, বাম সহযোগী দলগুলি কলকাতায় বিরাট মিছিল সংগঠিত করেছে।
এনপিআর-র বিরুদ্ধে নিউটাউন, বনগাঁয় বড় আকারের কর্মসূচি হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর ২০টি দলের যৌথ মিছিল হয়েছে কলকাতায়। ছাত্র ও তরুণ সমাজের বিপুল বিক্ষোভকে রাজ্য কমিটি স্বাগত জানিয়েছে। রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত করেছে, এই প্রচার ও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে নিবিড়ভাবে প্রচার পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে এনপিআর হতে দেওয়া হবে না। রাজ্য সরকার এনপিআর-র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজ চালাতে দেওয়া হবে না।
বামপন্থী ও সহযোগী দলগুলির উদ্যোগে ২৩ জানুয়ারি ‘দেশপ্রেম দিবস’ পালিত হবে। ২৬ জানুয়ারি বামপন্থী ও সহযোগী দলগুলি এবং জাতীয় কংগ্রেসের যৌথ উদ্যোগে সমস্ত পৌর ওয়ার্ড ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দু’ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি হবে।
সংবিধান ধ্বংসের চেষ্টার বিরুদ্ধে এই অবস্থানে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, সংবিধান রচনার প্রেক্ষিত, ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্রের কথা তুলে ধরা হবে। শপথ বাক্য হিসাবে পাঠ করা হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা। রাজ্যের সর্বত্র এই কর্মসূচি সফল করার জন্য রাজ্য কমিটি আহ্বান জানিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজীর হত্যাকান্ডের দিনেও কর্মসূচি পালিত হবে।
রাজ্য কমিটি বলেছে, এই প্রচারের পাশাপাশি স্থানীয় দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দাবি আদায়ের জন্যই আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে।
রাজ্য কমিটির সভায় সাংগঠনিক কাজের পর্যালোচনাও করা হয়েছে। সংগঠনে করণীয় জরুরী কাজগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

উত্তর দিন