আমাদের কথা

প্রথম পলিটব্যুরো মেম্বার্স

দাঁড়িয়ে রয়েছেন (বাম দিক থেকে): ১. পি রামমূর্তি ২. এম বাসবপুন্নাইয়াহ ৩. ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ ৪. এইচ কে এস সুরজিত

চেয়ারে বসে আছেন (বাম দিক থেকে ): ১. প্রমোদ দাশগুপ্ত ২. জ্যোতি বসু ৩. পি সুন্দরাইয়া ৪. বি টি রণদিভে ৫. এ কে গোপালন

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সপ্তম কংগ্রেস (১৯৬৪ সালের ৩১শে অক্টোবর - ৭ই নভেম্বর) থেকে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা সি পি আই (এম) গঠিত হয়। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে দক্ষিনপন্থী সংশোধনবাদ ও বামপন্থী সংকীর্ণতাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মার্কসবাদ–লেনিনবাদের বৈজ্ঞানিক ও বিপ্লবী মতবাদকে রক্ষা করা এবং ভারতের সুনির্দিস্ট পরিস্থিতিতে তার যথাযথ প্রয়োগ করতে সিপিআই(এম) গড়ে ওঠে। ১৯২০ সালে গঠিত অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির বৈপ্লবিক উত্তরাধিকার ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের অসামান্য ঐতিহ্যকে সংযুক্ত করে সি পি আই (এম)। পার্টি গঠনের পর ১৯৬৪ সাল থেকে ক্রমশ সারা দেশে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা বাম শক্তি হিসাবে নিজেকে বিকশিত করেছে সিপিআই(এম)। প্রতিষ্ঠার সময় পার্টি সদস্য ছিল ১১৮৬৮৩ জন (এক লক্ষ আঠেরো হাজার ছশো তিরাশি) যা ২০১৮ সালের হিসাবে ১০০০৫২০ (দশ লক্ষ পাঁচশো কুড়ি) হয়েছে। ভারতের জনগণের জীবনযাত্রার রূপান্তর ঘটাতে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবের রণনীতি ও রণকৌশলের অনুশীলন এবং ভারতের নির্দিস্ট পরিস্থিতিতে মার্কসবাদ-লেনিনবাদের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে সিপিআই(এম) স্বাধীনভাবে কাজ করে চলেছে। নির্দিষ্ট বুনিয়াদি রুপান্তরের লক্ষ্যে পৌঁছতে ভারতে সাম্রাজ্যবাদী, বৃহৎ বুর্জোয়া এবং জমিদারী শোষণের অবসান ঘটানর জন্য সিপিআই(এম) কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিদ্যমান বুর্জোয়া-জমিদারী ব্যাবস্থার বিপরীতে বাস্তবসম্মত বিকল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক বাম-গনতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠনের কাজে দেশের অগ্রনী বামপন্থী পার্টি হিসাবে সি পি আই (এম) দ্বায়বদ্ধ। শেষ কয়েকটি সাধারণ নির্বাচনে সিপিআই(এম) দেশজুড়ে মোট আসনের ১৫ শতাংশ (গড় হিসাবে) আসনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছে। ভারতে নির্বাচনী পদ্ধতি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বদলে “ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট” অনুসারে হয়। ২০১৯ সালের নির্বাচনে লোকসভায় (যা সংসদের নিম্নকক্ষ) সিপিআই(এম) তিনটি আসনে জয়ী হয়। সংসদের নিম্নকক্ষে মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩। রাজ্যসভায় (যা সংসদের উচ্চকক্ষ) সিপিআই(এম)’র পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। বর্তমানে সিপিআই(এম) একটি রাজ্যসরকার পরিচালনা করছে – কেরালায়। কেরালার নির্বাচনে সিপিআই(এম)’র নেতৃত্বে বাম-গনতান্ত্রিক ফ্রন্ট ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ সাল (মে মাস) অবধি নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পশ্চিমবঙ্গে সিপিআই(এম)’র নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার পরিচালিত হয়েছে। সিপিআই(এম)’র নেতৃত্বে বামফ্রন্ট ২০১৮ সাল অবধি ত্রিপুরায় রাজ্য সরকার পরিচালনা করেছে। কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় সিপিআই(এম)’র প্রতিনিধি রয়েছে।

সাধারণ সম্পাদকদের নামের তালিকাঃ-

সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনের স্থান সাল
পি সুন্দরাইয়া কলকাতা (৭ম কংগ্রেস) ১৯৬৪
পি সুন্দরাইয়া কোচিন (৮ম কংগ্রেস) ১৯৬৮
পি সুন্দরাইয়া মাদুরাই (৯ম কংগ্রেস) ১৯৭২
ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ জলন্ধর (১০ম কংগ্রেস) ১৯৭৮
ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ বিজয়ওয়াদা (১১শ কংগ্রেস) ১৯৮২
ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ কলকাতা (১২শ কংগ্রেস) ১৯৮৫
ই এম এস নাম্বুদিরিপাদ তিরুবনন্তপুরম (১৩শ কংগ্রেস) ১৯৮৮-৮৯
হরকিষেন সিং সুরজিত মাদ্রাজ (১৪শ কংগ্রেস) ১৯৯২
হরকিষেন সিং সুরজিত চণ্ডীগড় (১৫শ কংগ্রেস) ১৯৯৫
হরকিষেন সিং সুরজিত কলকাতা (১৬শ কংগ্রেস) ১৯৯৮
হরকিষেন সিং সুরজিত হায়দ্রাবাদ (১৭শ কংগ্রেস) ২০০২
প্রকাশ কারাট নিউ দিল্লি (১৮শ কংগ্রেস) ২০০৫
প্রকাশ কারাট কোয়েম্বাটুর (১৯শ কংগ্রেস) ২০০৮
প্রকাশ কারাট কোঝিকোড় (২০ম কংগ্রেস) ২০১২
সীতারাম ইয়েচুরি বিশাখাপত্তনম (২১ম কংগ্রেস) ২০১৫
সীতারাম ইয়েচুরি হায়দ্রাবাদ (২২ম কংগ্রেস) ২০১৮

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকদের নামের তালিকাঃ-

সম্মেলনের স্থান বছর নির্বাচিত সম্পাদক
মেটিয়াবুরুজ ১৯৩৪ মনি চট্টোপাধ্যায়
চন্দননগর ১৯৩৮-৩৯ নৃপেন চক্রবর্তী
ভারতসভা হল ১৯৪৩ ভবানী সেন
ডেকার্স লেন ১৯৪৭ রণেন সেন
মুসলিম ইনস্টিটিউট ১৯৫১ মুজফ্ফর আহমদ
মুসলিম ইনস্টিটিউট ১৯৫৩ জ্যোতি বসু
মুসলিম ইনস্টিটিউট ১৯৫৬ জ্যোতি বসু
কলকাতা ১৯৫৯ জ্যোতি বসু
বর্ধমান ১৯৬১ প্রমোদ দাসগুপ্ত
কলকাতা ১৯৬৪ প্রমোদ দাসগুপ্ত
দমদম ১৯৬৮ প্রমোদ দাসগুপ্ত
মেদিনীপুর ১৯৭২ প্রমোদ দাসগুপ্ত
কলকাতা ১৯৭৮ প্রমোদ দাসগুপ্ত
কলকাতা ১৯৮১-৮২ প্রমোদ দাসগুপ্ত
কলকাতা ১৯৮৫ সরোজ মুখার্জী
যুবভারতী ১৯৮৮ সরোজ মুখার্জী
শিলিগুড়ি ১৯৯১ শৈলেন দাসগুপ্ত
কিশোরভারতী ১৯৯৫ শৈলেন দাসগুপ্ত
হাওড়া ১৯৯৮ শৈলেন দাসগুপ্ত
কলকাতা ২০০২ অনিল বিশ্বাস
কামারহাটি ২০০৫ অনিল বিশ্বাস
কলকাতা ২০০৮ বিমান বসু
কলকাতা ২০১২ বিমান বসু
কলকাতা ২০১৫ সূর্যকান্ত মিশ্র
কলকাতা ২০১৮ সূর্যকান্ত মিশ্র
শেয়ার করুন